শ্রবণযন্ত্র

  • শ্রবণযন্ত্র হল একটি ছোট, স্মার্ট ডিভাইস যা শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস বা শুনতে অসুবিধা হওয়া ব্যক্তিদের সাহায্য করে। এটি কানের ভিতরে বা বাইরে বসানো হয় এবং ক্ষুদ্র শব্দ থেকে বড় শব্দ পর্যন্ত সবকিছু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়। শ্রবণযন্ত্র ব্যবহার করলে দৈনন্দিন জীবনে কথোপকথন বোঝা সহজ হয়, সামাজিক সম্পর্কের যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ভাষা শেখার দক্ষতা বাড়ায়, আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি ও মানসিক সচেতনতা উন্নত করতে সাহায্য করে। বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক কেন্দ্রেই আধুনিক প্রযুক্তির শ্রবণযন্ত্র পাওয়া যায়, যা কাস্টমাইজ করা যায় এবং রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধাসহ দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার উপযোগী।

শ্রবণ শক্তি হ্রাস বা শুনতে অসুবিধা হওয়া জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। কথোপকথন বোঝা যায় না, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন হয়ে যায়, এবং অনেক সময় নিজেকে আলাদা মনে হতে পারে। শ্রবণযন্ত্র (Hearing Aid Machine) সেই সমস্যার এক সহজ ও কার্যকর সমাধান। এটি শব্দকে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী করে, যাতে আপনি আবার সহজেই শুনতে এবং কথা বলতে পারেন। বাংলাদেশে এখন উন্নত প্রযুক্তির শ্রবণযন্ত্র পাওয়া যাচ্ছে, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনের মান বাড়াতে সাহায্য করে।

শ্রবণযন্ত্র কি?

শ্রবণযন্ত্র হল একটি ছোট, স্মার্ট ডিভাইস যা কানের ভিতরে বা বাইরে বসানো হয়। এটি ক্ষুদ্র শব্দ থেকে শুরু করে বড় শব্দ পর্যন্ত সবকিছু স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়। শুধু শব্দ শক্তিশালী করা নয়, এটি শব্দের মানও ধরে রাখে। শিশুরা ভাষা শেখার ক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায়, এবং বয়স্করা সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে সক্রিয় থাকতে এটি সাহায্য করে।

শ্রবণযন্ত্র ব্যবহার করার সুবিধা

শ্রবণযন্ত্র কেবল শব্দ শুনতে সাহায্য করে না, এটি জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। এর কিছু প্রধান সুবিধা:

  • কথোপকথন বোঝা সহজ হয়: পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের সঙ্গে স্পষ্টভাবে কথা বলা যায়।

  • সামাজিক আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: আপনি আলোচনায় সক্রিয় থাকতে পারবেন এবং ভয় ছাড়া কথা বলতে পারবেন।

  • শিশুদের ভাষা ও শেখার দক্ষতা বাড়ায়: ছোট বয়স থেকে শ্রবণযন্ত্র ব্যবহারে ভাষা শেখার গতি দ্রুত হয়।

  • বয়স্কদের জীবনমান উন্নত হয়: স্মৃতিশক্তি ও মানসিক সচেতনতা উন্নত হয়।

  • দৈনন্দিন জীবন সহজ হয়: সিনেমা দেখা, গান শোনা, বাজারে বা অফিসে কথা বোঝা সবকিছু সহজ হয়ে যায়।

শ্রবণযন্ত্রের প্রকারভেদ

বাংলাদেশে প্রধানত তিন ধরনের শ্রবণযন্ত্র পাওয়া যায়:

  1. BTE (Behind the Ear): কানের পেছনে বসানো হয় এবং বড় দিক থেকে বেশি ক্ষমতা রয়েছে।

  2. ITE (In the Ear): পুরো কানের ভিতরে বসানো হয়, দেখতে ছোট এবং ব্যবহার সহজ।

  3. CIC (Completely in Canal): কানের ভেতরে সম্পূর্ণভাবে বসানো হয়, খুব ছোট এবং প্রায় অদৃশ্য।

প্রত্যেক ধরনের শ্রবণযন্ত্রের সুবিধা এবং ব্যবহার আলাদা। তাই একজন অভিজ্ঞ অডিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সঠিক শ্রবণযন্ত্র নির্বাচন কিভাবে করবেন?

  • প্রথমে শ্রবণ পরীক্ষা করান।

  • দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন এবং বাজেট অনুযায়ী শ্রবণযন্ত্র বেছে নিন।

  • নিয়মিত চেকআপ করুন এবং ব্যাটারি বা রিচার্জেবল ডিভাইসের চার্জ ঠিক রাখুন।

  • সময়ে সময়ে অডিওলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করে সেটিংস সামঞ্জস্য করুন।

শ্রবণযন্ত্র আপনার জীবনে কিভাবে পরিবর্তন আনে

শ্রবণযন্ত্র শুধু শব্দ শুনতে সাহায্য করে না। এটি আপনার সামাজিক জীবন, আত্মবিশ্বাস এবং দৈনন্দিন স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ায়। সঠিক পরামর্শ ও মানসম্মত ডিভাইসের মাধ্যমে, আপনি আবার শব্দের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন, পরিবারের সাথে গল্প করতে পারবেন এবং বন্ধুদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে যোগাযোগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশে আধুনিক এবং উন্নত প্রযুক্তির শ্রবণযন্ত্র সহজলভ্য। এখনই একজন বিশেষজ্ঞ অডিওলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং আপনার শ্রবণ ক্ষমতা উন্নত করুন। এটি আপনার জীবনের মান বৃদ্ধি করবে এবং দৈনন্দিন জীবনকে সহজ, আনন্দময় ও স্বাভাবিক করে তুলবে।

Hearing Aid Repair And Maintenance

সেরা হেয়ারিং এইড যন্ত্র — আপনার শ্রবণ শক্তি ফিরে পান

We provide hearing aid repairs, batteries, and supplies to keep your devices going.

শ্রবণ শক্তি হারানো মানে স্বাভাবিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। কথা শোনা, মানুষের সাথে সংযোগ রাখা, এমনকি নিজের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখাও কঠিন হয়ে যায়। এই অবস্থায় হেয়ারিং এইড হতে পারে আপনার শ্রবণ শক্তি ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর সহায়ক। ভালো মানের যন্ত্রটি শুধু শব্দ বাড়িয়ে দেয় না, বরং স্বাভাবিক অভিজ্ঞতা ফিরিয়ে আনে।


কেন হেয়ারিং এইড ব্যবহার করবেন

হালকা বা মাঝারি মাত্রার শ্রবণ হ্রাস হলে সময়মতো হেয়ারিং এইড ব্যবহার করলে

  • কথা বুঝতে সহজ হয়

  • সামাজিকতার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্য আসে

  • মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে

  • মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার ঝুঁকি কমে

এগুলো শুধু যন্ত্র নয়, আপনার দৈনন্দিন আত্মবিশ্বাসের অংশ হয়ে ওঠে।


জনপ্রিয় হেয়ারিং এইডের ধরন

১. BTE (Behind The Ear)
কানের পেছনে থাকে এবং টিউবের মাধ্যমে শব্দ পৌঁছায়। বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর জন্য উপযোগী।

২. RIC/RITE (Receiver In Canal/Ear)
ছোট আকার ও আধুনিক ডিজাইনে আসে, শব্দ গুণগত মান চমৎকার হয়।

৩. ITE (In The Ear)
কানের ভেতরে ফিট হয়, কম চোখে পড়ে।

৪. CIC ও IIC (Completely/Invisible In Canal)
খুব ছোট এবং প্রায় অদৃশ্য, তবে সব ধরনের শ্রবণহ্রাসে মানানসই নয়।

আপনার কানের অবস্থা অনুযায়ী কোনটি উপযোগী হবে একজন অডিওলজিস্ট ঠিক করে দেবেন।


কোন ফিচারগুলো খেয়াল রাখবেন

হেয়ারিং এইড নির্বাচন করতে গিয়ে কয়েকটি বিষয় ভাবা জরুরি।

  • ডিজিটাল নয়েজ রিডাকশন শব্দ পরিষ্কার শোনায়

  • ব্লুটুথ সংযোগ মোবাইল বা টিভির সাথে সহজ ব্যবহার

  • রিচার্জেবল ব্যাটারি নিয়মিত ব্যাটারি বদলানোর ঝামেলা কম

  • কাস্টম প্রোগ্রামিং আপনার জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে চলে

  • অ্যাডাপটিভ মাইক্রোফোন চারপাশের শব্দ অনুযায়ী নিজে নিজে ঠিক হয়

যন্ত্র যতটাই উন্নত হোক, আপনার চাহিদার সাথে মানানোটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


কী দাম হতে পারে

হেয়ারিং এইডের দাম নির্ভর করে

  • ব্র্যান্ড

  • প্রযুক্তি

  • ব্যাটারির ধরন

  • কাস্টমাইজেশন

বাজেট-ফ্রেন্ডলি থেকে প্রিমিয়াম—সব রেঞ্জেই অপশন রয়েছে। আপনি কী ধরনের সহায়তা চান সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।


ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ

ভালো যন্ত্র নিলেও সঠিকভাবে না ব্যবহার করলে ফল পাওয়া কঠিন।

  • শুরুতে অভ্যাস করার জন্য সময় দিন

  • কান ও যন্ত্র নিয়মিত পরিষ্কার করুন

  • ব্যাটারির চার্জ ঠিক রাখুন

  • বছরে অন্তত একবার চেক-আপ করুন

আপনি যত দায়িত্বশীল হবেন, ফল তত ভালো পাবেন।

কেন আবিদ হিয়ারিং-এ আসবেন?

শ্রবণ সমস্যার সঙ্গে জীবন যাপন কখনোই সহজ নয়। কথোপকথন বোঝা যায় না, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন হয়, আর সামাজিক জীবনে অনেক সীমাবদ্ধতা দেখা দেয়। আবিদ হিয়ারিং কেয়ার সেন্টার সেই সমস্যার সমাধান দিতে আপনার পাশে দাঁড়ায়।

আমাদের ইতিহাস এবং লক্ষ্য

আবিদ হিয়ারিং কেয়ার সেন্টার ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যাতে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সর্বাধুনিক এবং পূর্ণাঙ্গ শ্রবণ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যায়। আমাদের লক্ষ্য হল প্রতিটি রোগীর জীবনমান উন্নত করা এবং তাদের স্বাভাবিকভাবে শুনতে এবং যোগাযোগ করতে সাহায্য করা।

অভিজ্ঞ এবং দক্ষ টিম

আবিদ হিয়ারিং-এর অডিওলজিস্ট এবং বিশেষজ্ঞরা সম্পূর্ণ প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ। আমরা প্রতিটি রোগীর শ্রবণ ক্ষমতা মূল্যায়ন করি এবং তাদের জন্য ব্যক্তিগত সমাধান প্রদান করি।

আধুনিক এবং বিস্তৃত সেবা

আবিদ হিয়ারিং কেয়ার সেন্টার বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রবণযন্ত্র সরবরাহকারী এবং সেবা কেন্দ্র। আমরা বিভিন্ন ধরনের শ্রবণযন্ত্র বিক্রি করি এবং সেটি কাস্টমাইজেশন, সেটিংস এবং রক্ষণাবেক্ষণ সেবাও প্রদান করি।

বন্ধুত্বপূর্ণ এবং মানবিক পরিবেশ

আমরা জানি শ্রবণ সমস্যা শুধু শারীরিক নয়, মানসিক চাপও আনে। তাই আমাদের পরিবেশ সম্পূর্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ, যেখানে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যে আপনার সমস্যার কথা বলতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি রোগীকে আত্মবিশ্বাস এবং স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে দেওয়া।

২৪/৭ সহায়তা

আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা পরামর্শ প্রয়োজন, আমাদের হেল্পলাইন ২৪/৭ খোলা:
০১৭৭ ১২৩ ৭৭ ৪০

আমাদের অবস্থান

প্রধান কার্যালয় – উত্তরা, ঢাকা
ওএসিস কমপ্লেক্স, হাউস-৫৯, সোনারগাঁও জনপথ রোড (প্রথম তলা), সেক্টর-৭, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০
ভূমি ফোন: ০২৪৮৯৬১৬১২
ফোন: ০১৭৭ ১২৩ ৭৭ ৪০, ০১৭১ ৫১ ৯০৯০১
ই-মেইল: [email protected], [email protected], [email protected]
ওয়েবসাইট: www.abidhearing.com

 

matize to your new lease of sound.

Once you are experiencing the maximum possible benefit from your digital hearing aids, we offer free routine six-monthly hearing aid servicing appointments for five years. This is vital since hearing aids require regular maintenance, servicing and re-calibrating to ensure they are operating at their prescribed level and providing you with optimal benefit. The hearing aid service includes:

  • Replacing of any dome, sports lock, wax guard, acoustic tubing your hearing aid may have
  • Vacuuming of the microphone ports, receiver (loudspeaker) and ventilation holes to clear them of impeding dust, debris, and ear wax
  • Testing the performance of your hearing aid in a ‘Hearing Aid Test Chamber’ to ensure it is working to specification
  • Examine the health of your ear and relay it on a large monitor to check for ear wax, ear infections, and other outer ear pathologies
  • Performing of any fine-tuning and firmware upgrades

Furthermore, every two years your hearing will be reassessed and hearing aids reprogrammed to reflect any changes in your hearing.